Md Shahin Kabir, Web development,SEO,SMM and wordpress expert in Bangladesh, Daffodil international university, Dhaka skype:kabir5800 and email:kabir5800@gmail.com
twitter Update
Md Shahin Kabir
Monday, August 6, 2012
Sunday, August 5, 2012
result of freedom of women against islam
নারী স্বাধীনতা, আমাদের পরিবার, পুরুষদের ব্যর্থতা এবং কিছু কথা
বাংলাদেশে নারী স্বাধীনতা, নারী অধিকার এসব নিয়ে পত্রিকায় লেখালেখি, সভা, সেমিনার, টিভি তে টক শো এর অভাব নাই। যারা এসব করেন তাদের কথা হলো :
“পুরুষ শাসিত সমাজ ব্যবস্থায় নারীদের কোনো মুল্যায়ন করা হয় না । পুরুষরা নারীদের ভোগ্য পণ্য হিসাবে ব্যবহার করে । “
তার সাথে যুক্ত করা হয়েছে কুরআন, হাদিস, ইসলাম এবং মুসলমানদের সম্পর্কিত কিছু ভুল
বাংলাদেশে নারী স্বাধীনতা, নারী অধিকার এসব নিয়ে পত্রিকায় লেখালেখি, সভা, সেমিনার, টিভি তে টক শো এর অভাব নাই। যারা এসব করেন তাদের কথা হলো :
“পুরুষ শাসিত সমাজ ব্যবস্থায় নারীদের কোনো মুল্যায়ন করা হয় না । পুরুষরা নারীদের ভোগ্য পণ্য হিসাবে ব্যবহার করে । “
তার সাথে যুক্ত করা হয়েছে কুরআন, হাদিস, ইসলাম এবং মুসলমানদের সম্পর্কিত কিছু ভুল
ব্যখ্যা ।তাদের ভাষ্য অনুযায়ি
” ইসলাম আধুনিকতা বুঝে না । ইসলামে নারীর স্বাধীনতা নাই।নারী স্বাধীনতায় ইসলাম বিশ্বাস করে না। ইসলাম মানেই অন্ধ বিশ্বাস ও ধর্মীয় গোড়ামী। এ অন্ধ বিশ্বাস ও ধর্মীয় গোড়ামীর কারনে মুসলমানরা অন্যদের চাইতে পিছিয়ে আছে ।মুসলমানদের মাঝে মুক্ত বুদ্ধি ও সাংস্কৃতিক চর্চা, সৃষ্টিশীল কর্ম ও মননশীলতা,উন্নত মন মানসিকতা, চিন্তা চেতনা নাই । “
এসব ইস্যু নিয়ে তথাকথিত কিছু উন্নত মানসিকতার ব্যক্তি দেশের নারী সমাজকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত এবং তারা সফল ও । এসব প্রচার প্রচরোণার ফলে এখন বাংলাদেশের মেয়েরা তাদের নিজেদের অধিকার এর ব্যপার এ অনেক সচেতন হয়েছে!!! কিন্তু তার ফলাফল কি??নারীরা আগ্রগামী হলে দেশ উন্নত হবে ঠিক। কিন্তু এর অপব্যবহার আজ আমাদের কোথায় দাড় করিয়েছে?? আজ আমাদের দেশের যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় ও ধংসের একটা বড় কারন হলো মেয়েরা তাদের ফাদে পা দিয়েছে । তারা তাদের থিওরী দিয়ে মেয়েদের ব্রেইন ওয়াশ করতে এবং পরিবার থেকে আলাদা করে ঘর থেকে বের করে আনতে সমর্থ হয়েছে । RJ নওসীনের উক্তি অনেকটা এরকম
“স্বামীর সাথে ডিভোর্স হওয়াই আমার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট।”
আজ থেকে ৫ বছরআগে ও যথেষ্ট শালীন ভাবে মেয়েরা রাস্তায় চলাফেরা করতো । কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন । তথাকথিত আধুনিকতার নামে নিজের অজান্তেই মেয়েরা নিজেদেরকে কাম-ভোগ এর সামগ্রীতে পরিনত করেছে । এখন নারীরা কে কত বেশি শরীর প্রদর্শন করতে পারে, পুরুষদের কাছে নিজেকে আরো কতো বেশি আকর্ষনীয় করতে পারে সে প্রতি্যোগীতায় নিরন্তর নীরলস ব্যস্ত । নিত্য নতুন ছোট ছোট ড্রেস আর খোলামেলা ভাবে শরীর প্রদর্শন করা যেনো হাল ফ্যাশন। এরউপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে হাজারো ব্যবসা-বানিজ্য, ভূড়ি ভূড়ি প্রতিষ্ঠান । টিভি চ্যানেল, বিনোদন এর পেপার-মেগাজিনের অভাব নাই। আছে হাজার হাজার তথাকথিত মডেল তারকা। বিভিন্ন রকমের সুন্দরী প্রতিযোগীতা যা কিনা নগ্নপ্রায় নারীর শরীরকে, যৌনতাকে ভদ্রতার মুখোশ পড়িয়ে উপস্থাপন করার ই নামান্তর। পর্দার সামনে সবকিছুই রঙ্গিন লাগে। কিন্তু পর্দার অন্তরালে কি হয় তার কতটুকু জানি আমরা?? কিছুদিন আগে এই সম্পর্কিত একটি টপিক পড়লাম একটা ফোরামে :
” নিত্য নতুন যে টিনএজ মেয়েরা মিডিয়াতে ঢুকতেছে তাদেরকে মূলত এলিট ক্লাসের যৌন ক্ষুধা মিটাতে ব্যবহার করা হয়। মিডিয়া হলো মধ্যযুগীয় আমলের যৌন দাসী তৈরী করার কারখানা। ভিন্ন ভাবে ভিন্ন উপয়ে ভিন্ন নামে আধুনিকতার মুখোশে মেয়েদেরকে ভোগের সামগ্রী হিসাবে ব্যবহার করা হয়। বিনিময়ে ওই মেয়েদের যা চাহিদা থাকে তা পূরন করা হয়। দেশব্যপী ওই মেয়েরা হয়ে যায় তথাকথিত বিখ্যাত সুপারস্টার । “
রাম্প মডেলিং এর নামে মেয়েদের শরীর প্রদর্শন করাকে যৌন সুড়সুড়ি ছাড়া আর কিছু কি বলা যায়?? যে ডিজাইনাররা এই উদ্ভট ও ছোট ছোট ড্রেস ডিজাইন করেন তারা কি ভেবে দেখেন যে এগুলোর আদৌ কোনো গ্রহণযোগ্যতা আছে কিনা?? এই ড্রেসে মেয়েদেরকে যে কিম্ভুতকিমাকার আজীব প্রাণী মনে হয় তা কি ভেবে দেখেছেন?? টিভি দেখলে, পেপার খুললেই ও বিভিন্ন মেলাতে গেলেই বুঝা যায় দেশের বর্তমান পরিস্থিতি। পন্যের বিজ্ঞাপণে পন্য খুজে পাওয়া দুষ্কর। নারীর ভীড়ে পন্য কোথায় যেন হারিয়ে যায়। পন্যের বিজ্ঞাপণ করতে এসে নিজেই হয়ে যান পন্য। কম্পিউটার, মোবাইল ও গাড়ির মেলাগুলোতে বিভিন্ন স্টলে ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্রীদের যেভাবে উপস্থাপন করা হয় তাতে ডিসপ্লেতে রাখা পন্যের পাশাপাশি মেয়েদেরকেও পন্যই মনে হয়। ওই স্টলগুলোতে তুলনামুলকভাবে ছেলেদের ভীরও থাকে বেশি। মোবাইল হাতে নিয়ে কিংবা গাড়ির পাশে স্টিল যে মেয়েটি দাঁড়িয়ে থাকে তাকে কি বলা যায়?? তাদেরকে দেখে বিভিন্ন পন্যের মার্কেটিং পলিসী মনে পরে যায়। ডিসপ্লেতে সাজানো পন্যের সাথে তখন তাদের কতটুকু পার্থক্য থাকে?? “ফেয়ার এন্ডলাভলী” এর বিজ্ঞাপণই প্রমান করে দেয় যে মেয়েরা কতটা বোকা। মিডিয়ার কল্যানে এগুলো প্রতিটি মানুষের কাছে পৌছে যাচ্ছে। এই সবই হচ্ছে পুজিবাদী অর্থনীতির প্রভাব। আগে যা ছিলো সমাজের ধনিক শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ তা ভাইরাসের মত সমাজের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে পরেছে। অসীম চাহিদা কিন্তু সীমাবদ্ধ সম্পদ এই দুই এর যাতাকলে পিষ্ট হয়ে আমরা বেছে নেই সস্তা কিছু জীবনদর্শন। আগে সমাজের আদর্শ ছিল যে মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েরা, আজ তারাও কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে তারাও আজ তথাকথিত আধুনিকতার জোয়ারে গা ভাসিয়ে দিয়েছে। অনেক মেয়েই আজ স্বীকার করে যে অশ্লীল ভাবে চলাফেরা করার জন্যই তাদের এই পরিনতি । বুকের ওড়না যখনগলায় থাকে কিংবা এতটাই স্বচ্ছ কাপড় যখন পরিধান করে যাতে শরীরের ভেতর দেখা যায় কিংবা নতুন স্টাইলের ফতুয়া, জিন্স পড়ে যাতে কোনো ওড়নাই থাকে না তখন কি বলা যায় তাকে??।পাশ্চাত্যের অনুকরনে আজ অশালীন ড্রেসই হয়ে গেছে শালীন। বরং শালীন ড্রেস পড়লেই মনে করা হয় ব্যকডেটেড। এমনকি মুসলিমদের পর্দার জন্য যে বোরখা ব্যবহার করা হতো আজ তাতেও লেগেছে আধুনিকতার স্পর্শ। বাহারী নাম, রঙ ও ডিজাইনের বোরখা দেখা যায়। অথচ ইসলামে স্পষ্ট বলা আছে বোরখার রঙ কালো ও সিস্পল হওয়া ভাল। প্রকৃতপক্ষে পর্দা করার পরিবর্তে ফ্যাশন হিসাবেই মেয়েরা এখন বোরখা ব্যবহার করে। কেউ কেউ আবার রোদ থেকে বাচার জন্য, ফর্সা ত্বক কালো হয়ে যাবে এই ভয়ে বোরখা ব্যবহার করে। কেউ আবার ব্যবহার করে অপরাধ করার পরে যেন কেউ চিনতে না পারে।
আজ হিন্দি সিনেমা, সিরিয়াল না দেখলে মেয়েদের যেন ঘুম হয় না, ওই স্টাইল ফলো না করলে প্রেস্টিজ থাকে না। যখন এই অসম প্রতিযোগীতা দেখি তখন অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি। প্রচলিত হিন্দি সিনেমা ও সিরিয়ালে “পরকীয়া” ব্যপারটা প্রচন্ড ভাবে লক্ষ্য করা যায়। বর্তমানে দেশে এই কালচারের চর্চা বেশ জোরেশোরেই হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ের কিছু ঘটনাই তার প্রমান। বিয়ের আগে পাচ-দশটা প্রেম না করলে ফ্রেন্ডদের কাছে প্রেস্টিজ থাকেনা। বিয়ের পরে পরকীয়া না করলে দাম্পত্য জীবন সুখী হয় না। মোবাইল ফোনে প্রেম, উফফ এর যেন কোন তুলনাই নাই। রাস্তা ঘাটে, মাঠে, পার্কে আগে দেখা যেত ছেলেরা খেলাধুলা করত। কিন্তু পরিস্থিতি এখন ভিন্ন। পাড়া-মহল্লায়, রাস্তার মোড়ে মোবাইলে কথা বলা নিয়া সবাই ব্যস্ত। মোবাইল ফোনের কল্যাণে খুব সহজেই মেয়েদের বেডরুমে ঢুকে পড়া যায়।অপরিচিতদের সাথে ফোনে সেক্স করা এখন দৈনন্দিন জীবনেরই অংশ। ক্রস কানেকশন হলে হটাৎ হয়তো কানে ভেসে আসতে পারে এমন কিছু। এমনও কিছু মানুষ আছে যারা নাকি অন্যের মুখ থেকে নিজের স্ত্রী বা প্রেমিকার সম্পর্কে মন্তব্য শুনতে ভালবাসে। তাদেরই এক জনের কথা এরকম :
” যখন কোনো ছেলে আমার বউকে দেখে বলে মেয়েটা খুব সেক্সী তখন খুব প্রাউড ফীল করি”
যদিও সেক্সী শব্দটাকে বাজে অর্থে বলা হয়েছে। আগে শোনা যেত ছেলেরা মেয়েদের মোবাইল ফোনে ডিসর্টাব করে। কিন্তু এখন আধুনিক মেয়েরাও ছেলেদের মোবাইল ফোনে ডিসর্টাব করে। হয়তো রেয়ার কিন্তু আস্তে আস্তে এটাও কালচারে পরিনত হচ্ছে। লিভ টুগাদার বৈধ করার জন্য আজ কিছু মানুষ উঠেপড়ে লেগেছে। কিছু দিন পরে পাশ্চাত্যের মত ফ্রি সেক্স কান্ট্রি ঘোষনা দিলেও অবাক হওয়ার কিছু নাই। অর্থ ও ক্ষমতার জোরে হোমোসেক্স, গে, লেসবিয়ান এসবই বৈধ হয়ে যাবে। 31th night এ কি হয় তাও প্রায় সবারই জানা।পতিতারা সমাজের চোখে ঘৃণ্য। তাদেরকে মানুষ বলে গণ্য করা হয় না। কিন্তু আমরা কি এটা জানি যে অধিকাংশদেরই জোর করে বাধ্য করা হয় এই কাজে। আর যারা স্বেচ্ছায় এই কাজ করে তাদেরকে কি বলা যায়?? গত ৩-৪ বছর আগে প্রতিদিনই পেপারে নিউজ থাকতো এরকম। ঢাকার কমবেশি প্রতিটা আবাসিক হোটেলে পতিতাবৃত্তিতে স্বেচ্ছায় নিয়োজিত অনেক সুন্দরী মেয়েই ছিলো। মধ্যবিত্ত পরিবার ও ঢাকার নামকরা কলেজ-ইউনিভার্সিটির মেয়েরাই ছিল বেশি। স্রেফ উচ্চবিত্তদের সাথে পাল্লা দিয়ে ভোগ-বিলাসিতা করার জন্যই তারা এই পথ বেছে নিয়েছিল। আর উচ্চবিত্তদের জন্য এটা ছিল ফ্যাশন। বিদেশি একজন পাইলট ব্যঙ্গ করেই বলেছিল :
” বাংলাদেশে সবচাইতে সস্তা হলো মেয়ে মানুষ। মাত্র 10$ এর বিনিময়ে সারা রাত একটা মেয়েকে ভোগ করা যায়। “
এই উক্তিটি নারী জাতির জন্য সুখকর নাকি অপমানজনক ভেবে দেখবেন। আর এখন তো ড্রাগের ব্যবসার সাথে জড়িত মূলত সুন্দরী মেয়েরাই। এটাই কি নারী স্বাধীনতার সুফল?? দেশের মানুষের মুল্যবোধ অবক্ষয়ের কারনও মেয়েরা। একটি পরিবারে যদি মায়েরই ধর্মীয় মুল্যবোধনা থাকে সেখানে সন্তানের মাঝে থাকবে কিভাবে?? আর ধর্মীয় মুল্যবোধ যেখানে নাই সেখানে নৈতিকতা ও মুল্যবোধের অবক্ষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর। আল্লাহ কাউকে ছেলে,কাউকে মেয়ে হিসাবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। এই ধ্রুব সত্যকে আমরা অস্বীকার করার ব্যর্থ চেষ্টা করি। ছেলে ও মেয়েদের সমান অধিকারের ধোয়া তুলে মেয়েদেরকে বিভ্রান্ত করা হয়। বর্তমানে মুসলিম উত্তরাধিকার আইন নিয়ে কথা হচ্ছে। সম্পত্তিতে নারী ও পুরুষ সমান অধিকারের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু যারা কথাগুলো বলেন তারা কি ভাল করে আইনটি পড়ে দেখেছেন?? যদি যথাযথ ভাবে সম্পদের সুষ্ঠ বন্টন হয় তাহলে প্রকৃত অর্থে মেয়েরাই বেশি সম্পত্তি পান। সম্পদের সুষ্ঠ বন্টনের ব্যবস্থা না করে সমঅধিকারের কথা বলে মুসলিম আইন পরিবর্তন করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। সব ক্ষেত্রে সব কিছু সমান হলে ছেলে বা মেয়েবলে কিছু থাকতো না। হয় সবাই ছেলে নয়তো মেয়েই হত। হাসি পায় যখন দেখি ওই আধুনিক মানুষগুলো আল্লাহর থেকেও বড় বিজ্ঞ হয়ে যায়। অধিকার, সম্মান ও দায়িত্ব এই বিষয়গুলোকে আমরা এক করে ফেলি। অধিকার ও সম্মান উভয় ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদের উপরে।কিন্তু ছেলেদের দায়িত্ব বেশি। আমাদের অজ্ঞতার কারনে এই ইস্যুকে পুজি করে ওই আধুনিক মানুষগুলো নারী অধিকারের ধোয়া তোলে। কিন্তু আমরা ভুলে যাই
” From the very beginning nature setup a by default rule around us. You have no power to break that rule. If u try, you must be punished by nature. “
মনে পড়ে নিউটনের সেই বিখ্যাত সূত্র
” প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। “
যেভাবে নিজেরা মনের মত করে সবকিছু পরিবর্তন করতেছি তার ফলাফল নিকট ভবিষ্যতে আমরাই ভোগ করব। এসবদেখা চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে এই কি সেই অধিকার!! এই কি সেই স্বাধীনতা!! হায় অধিকার!! হায় স্বাধীনতা!! হাসি পায় যখন মনে পরে যে,পুরুষ শাসিত সমাজ ব্যবস্থা থেকে নিজের অধিকার রক্ষা করতে এসে উলটা নিজেরাই নিজেদেরকে প্যকেটজাত পন্যে রূপান্তরিত করে। ভাবতেই অবাক লাগে মানুষ কি ভাবে এতবোকা হয়। ধিক, শত ধিক তাদেরকে। তাদের জন্যই আজ প্রকৃত পক্ষে যারা ভালো তাদেরকে প্রতিনিয়ত বিব্রত হতে হচ্ছে। যেসব মেয়েরা এসব করতেছে তারা আমাদেরই কারো মা, বোন, স্ত্রী, কন্যা। আমরা তাদেরকে সঠিক গাইডলাইন দিতে পারছি না।
এখানেই আমাদের পুরুষদের ব্যর্থতা।
আমরা যদি এই বিষয়গুলো একটু খেয়াল করি এবং নিজ নিজ অবস্থানে থেকে চেষ্টা করি তাহলে আমরাই পারবো সমাজকে পরিবর্তন করতে। না হলে এর ভয়াবহতা থেকে আমরা কেউই রক্ষা পাবো না।
( এই টপিকটা পড়ার পরে অনেকেই আমাকে হয়তো মনে মনে গালাগালি করবেন। আবার কেউ কেউ আমার কথাকে সাপোর্ট দিবেন। কেউ কেউ বলবেন, যে যার যার মত চলুক। ইত্যাদি.. ইত্যাদি…। ব্যস এই টুকুই। তারপর সবই আবার আগের মতো। আর এই স্বভাবের জন্যই আমরা আজ তৃতীয় বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত দেশ, ৮০% মানুষ মুসলিম, কিন্তু বলতে পারি না বাংলাদেশ মুসলিম দেশ। তাই এখনই সময় একটু ভেবে দেখার। )
বি.দ্র. :
*** সমাজে এখনো অনেক ভাল মানুষ (পুরুষ ও মহিলা) আছে বলেই আমরা টিকে আছি। এক সময় ভাল মানুষ ছিল অনেক বেশি, মুষ্টিমেয় কিছু ছিল খারাপ। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে আজ সব কিছু পালটে গেছে। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ সমগ্র জাতিকে ধংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে । শরীরে একটু পচন ধরলে ধীরে ধীরে সমগ্র শরীরকেই তা গ্রাস করে। আমাদের সমাজেও আজ তারই প্রতিফলন। আমার কথাগুলো তাদের উদ্দেশ্যেই বলা যারা নগদ কিছু প্রাপ্তির আশায় নোংরামীকে বেছে নেয়,মানুষকে বিভ্রান্ত করে।
” ইসলাম আধুনিকতা বুঝে না । ইসলামে নারীর স্বাধীনতা নাই।নারী স্বাধীনতায় ইসলাম বিশ্বাস করে না। ইসলাম মানেই অন্ধ বিশ্বাস ও ধর্মীয় গোড়ামী। এ অন্ধ বিশ্বাস ও ধর্মীয় গোড়ামীর কারনে মুসলমানরা অন্যদের চাইতে পিছিয়ে আছে ।মুসলমানদের মাঝে মুক্ত বুদ্ধি ও সাংস্কৃতিক চর্চা, সৃষ্টিশীল কর্ম ও মননশীলতা,উন্নত মন মানসিকতা, চিন্তা চেতনা নাই । “
এসব ইস্যু নিয়ে তথাকথিত কিছু উন্নত মানসিকতার ব্যক্তি দেশের নারী সমাজকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত এবং তারা সফল ও । এসব প্রচার প্রচরোণার ফলে এখন বাংলাদেশের মেয়েরা তাদের নিজেদের অধিকার এর ব্যপার এ অনেক সচেতন হয়েছে!!! কিন্তু তার ফলাফল কি??নারীরা আগ্রগামী হলে দেশ উন্নত হবে ঠিক। কিন্তু এর অপব্যবহার আজ আমাদের কোথায় দাড় করিয়েছে?? আজ আমাদের দেশের যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় ও ধংসের একটা বড় কারন হলো মেয়েরা তাদের ফাদে পা দিয়েছে । তারা তাদের থিওরী দিয়ে মেয়েদের ব্রেইন ওয়াশ করতে এবং পরিবার থেকে আলাদা করে ঘর থেকে বের করে আনতে সমর্থ হয়েছে । RJ নওসীনের উক্তি অনেকটা এরকম
“স্বামীর সাথে ডিভোর্স হওয়াই আমার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট।”
আজ থেকে ৫ বছরআগে ও যথেষ্ট শালীন ভাবে মেয়েরা রাস্তায় চলাফেরা করতো । কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন । তথাকথিত আধুনিকতার নামে নিজের অজান্তেই মেয়েরা নিজেদেরকে কাম-ভোগ এর সামগ্রীতে পরিনত করেছে । এখন নারীরা কে কত বেশি শরীর প্রদর্শন করতে পারে, পুরুষদের কাছে নিজেকে আরো কতো বেশি আকর্ষনীয় করতে পারে সে প্রতি্যোগীতায় নিরন্তর নীরলস ব্যস্ত । নিত্য নতুন ছোট ছোট ড্রেস আর খোলামেলা ভাবে শরীর প্রদর্শন করা যেনো হাল ফ্যাশন। এরউপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে হাজারো ব্যবসা-বানিজ্য, ভূড়ি ভূড়ি প্রতিষ্ঠান । টিভি চ্যানেল, বিনোদন এর পেপার-মেগাজিনের অভাব নাই। আছে হাজার হাজার তথাকথিত মডেল তারকা। বিভিন্ন রকমের সুন্দরী প্রতিযোগীতা যা কিনা নগ্নপ্রায় নারীর শরীরকে, যৌনতাকে ভদ্রতার মুখোশ পড়িয়ে উপস্থাপন করার ই নামান্তর। পর্দার সামনে সবকিছুই রঙ্গিন লাগে। কিন্তু পর্দার অন্তরালে কি হয় তার কতটুকু জানি আমরা?? কিছুদিন আগে এই সম্পর্কিত একটি টপিক পড়লাম একটা ফোরামে :
” নিত্য নতুন যে টিনএজ মেয়েরা মিডিয়াতে ঢুকতেছে তাদেরকে মূলত এলিট ক্লাসের যৌন ক্ষুধা মিটাতে ব্যবহার করা হয়। মিডিয়া হলো মধ্যযুগীয় আমলের যৌন দাসী তৈরী করার কারখানা। ভিন্ন ভাবে ভিন্ন উপয়ে ভিন্ন নামে আধুনিকতার মুখোশে মেয়েদেরকে ভোগের সামগ্রী হিসাবে ব্যবহার করা হয়। বিনিময়ে ওই মেয়েদের যা চাহিদা থাকে তা পূরন করা হয়। দেশব্যপী ওই মেয়েরা হয়ে যায় তথাকথিত বিখ্যাত সুপারস্টার । “
রাম্প মডেলিং এর নামে মেয়েদের শরীর প্রদর্শন করাকে যৌন সুড়সুড়ি ছাড়া আর কিছু কি বলা যায়?? যে ডিজাইনাররা এই উদ্ভট ও ছোট ছোট ড্রেস ডিজাইন করেন তারা কি ভেবে দেখেন যে এগুলোর আদৌ কোনো গ্রহণযোগ্যতা আছে কিনা?? এই ড্রেসে মেয়েদেরকে যে কিম্ভুতকিমাকার আজীব প্রাণী মনে হয় তা কি ভেবে দেখেছেন?? টিভি দেখলে, পেপার খুললেই ও বিভিন্ন মেলাতে গেলেই বুঝা যায় দেশের বর্তমান পরিস্থিতি। পন্যের বিজ্ঞাপণে পন্য খুজে পাওয়া দুষ্কর। নারীর ভীড়ে পন্য কোথায় যেন হারিয়ে যায়। পন্যের বিজ্ঞাপণ করতে এসে নিজেই হয়ে যান পন্য। কম্পিউটার, মোবাইল ও গাড়ির মেলাগুলোতে বিভিন্ন স্টলে ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্রীদের যেভাবে উপস্থাপন করা হয় তাতে ডিসপ্লেতে রাখা পন্যের পাশাপাশি মেয়েদেরকেও পন্যই মনে হয়। ওই স্টলগুলোতে তুলনামুলকভাবে ছেলেদের ভীরও থাকে বেশি। মোবাইল হাতে নিয়ে কিংবা গাড়ির পাশে স্টিল যে মেয়েটি দাঁড়িয়ে থাকে তাকে কি বলা যায়?? তাদেরকে দেখে বিভিন্ন পন্যের মার্কেটিং পলিসী মনে পরে যায়। ডিসপ্লেতে সাজানো পন্যের সাথে তখন তাদের কতটুকু পার্থক্য থাকে?? “ফেয়ার এন্ডলাভলী” এর বিজ্ঞাপণই প্রমান করে দেয় যে মেয়েরা কতটা বোকা। মিডিয়ার কল্যানে এগুলো প্রতিটি মানুষের কাছে পৌছে যাচ্ছে। এই সবই হচ্ছে পুজিবাদী অর্থনীতির প্রভাব। আগে যা ছিলো সমাজের ধনিক শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ তা ভাইরাসের মত সমাজের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে পরেছে। অসীম চাহিদা কিন্তু সীমাবদ্ধ সম্পদ এই দুই এর যাতাকলে পিষ্ট হয়ে আমরা বেছে নেই সস্তা কিছু জীবনদর্শন। আগে সমাজের আদর্শ ছিল যে মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েরা, আজ তারাও কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে তারাও আজ তথাকথিত আধুনিকতার জোয়ারে গা ভাসিয়ে দিয়েছে। অনেক মেয়েই আজ স্বীকার করে যে অশ্লীল ভাবে চলাফেরা করার জন্যই তাদের এই পরিনতি । বুকের ওড়না যখনগলায় থাকে কিংবা এতটাই স্বচ্ছ কাপড় যখন পরিধান করে যাতে শরীরের ভেতর দেখা যায় কিংবা নতুন স্টাইলের ফতুয়া, জিন্স পড়ে যাতে কোনো ওড়নাই থাকে না তখন কি বলা যায় তাকে??।পাশ্চাত্যের অনুকরনে আজ অশালীন ড্রেসই হয়ে গেছে শালীন। বরং শালীন ড্রেস পড়লেই মনে করা হয় ব্যকডেটেড। এমনকি মুসলিমদের পর্দার জন্য যে বোরখা ব্যবহার করা হতো আজ তাতেও লেগেছে আধুনিকতার স্পর্শ। বাহারী নাম, রঙ ও ডিজাইনের বোরখা দেখা যায়। অথচ ইসলামে স্পষ্ট বলা আছে বোরখার রঙ কালো ও সিস্পল হওয়া ভাল। প্রকৃতপক্ষে পর্দা করার পরিবর্তে ফ্যাশন হিসাবেই মেয়েরা এখন বোরখা ব্যবহার করে। কেউ কেউ আবার রোদ থেকে বাচার জন্য, ফর্সা ত্বক কালো হয়ে যাবে এই ভয়ে বোরখা ব্যবহার করে। কেউ আবার ব্যবহার করে অপরাধ করার পরে যেন কেউ চিনতে না পারে।
আজ হিন্দি সিনেমা, সিরিয়াল না দেখলে মেয়েদের যেন ঘুম হয় না, ওই স্টাইল ফলো না করলে প্রেস্টিজ থাকে না। যখন এই অসম প্রতিযোগীতা দেখি তখন অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি। প্রচলিত হিন্দি সিনেমা ও সিরিয়ালে “পরকীয়া” ব্যপারটা প্রচন্ড ভাবে লক্ষ্য করা যায়। বর্তমানে দেশে এই কালচারের চর্চা বেশ জোরেশোরেই হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ের কিছু ঘটনাই তার প্রমান। বিয়ের আগে পাচ-দশটা প্রেম না করলে ফ্রেন্ডদের কাছে প্রেস্টিজ থাকেনা। বিয়ের পরে পরকীয়া না করলে দাম্পত্য জীবন সুখী হয় না। মোবাইল ফোনে প্রেম, উফফ এর যেন কোন তুলনাই নাই। রাস্তা ঘাটে, মাঠে, পার্কে আগে দেখা যেত ছেলেরা খেলাধুলা করত। কিন্তু পরিস্থিতি এখন ভিন্ন। পাড়া-মহল্লায়, রাস্তার মোড়ে মোবাইলে কথা বলা নিয়া সবাই ব্যস্ত। মোবাইল ফোনের কল্যাণে খুব সহজেই মেয়েদের বেডরুমে ঢুকে পড়া যায়।অপরিচিতদের সাথে ফোনে সেক্স করা এখন দৈনন্দিন জীবনেরই অংশ। ক্রস কানেকশন হলে হটাৎ হয়তো কানে ভেসে আসতে পারে এমন কিছু। এমনও কিছু মানুষ আছে যারা নাকি অন্যের মুখ থেকে নিজের স্ত্রী বা প্রেমিকার সম্পর্কে মন্তব্য শুনতে ভালবাসে। তাদেরই এক জনের কথা এরকম :
” যখন কোনো ছেলে আমার বউকে দেখে বলে মেয়েটা খুব সেক্সী তখন খুব প্রাউড ফীল করি”
যদিও সেক্সী শব্দটাকে বাজে অর্থে বলা হয়েছে। আগে শোনা যেত ছেলেরা মেয়েদের মোবাইল ফোনে ডিসর্টাব করে। কিন্তু এখন আধুনিক মেয়েরাও ছেলেদের মোবাইল ফোনে ডিসর্টাব করে। হয়তো রেয়ার কিন্তু আস্তে আস্তে এটাও কালচারে পরিনত হচ্ছে। লিভ টুগাদার বৈধ করার জন্য আজ কিছু মানুষ উঠেপড়ে লেগেছে। কিছু দিন পরে পাশ্চাত্যের মত ফ্রি সেক্স কান্ট্রি ঘোষনা দিলেও অবাক হওয়ার কিছু নাই। অর্থ ও ক্ষমতার জোরে হোমোসেক্স, গে, লেসবিয়ান এসবই বৈধ হয়ে যাবে। 31th night এ কি হয় তাও প্রায় সবারই জানা।পতিতারা সমাজের চোখে ঘৃণ্য। তাদেরকে মানুষ বলে গণ্য করা হয় না। কিন্তু আমরা কি এটা জানি যে অধিকাংশদেরই জোর করে বাধ্য করা হয় এই কাজে। আর যারা স্বেচ্ছায় এই কাজ করে তাদেরকে কি বলা যায়?? গত ৩-৪ বছর আগে প্রতিদিনই পেপারে নিউজ থাকতো এরকম। ঢাকার কমবেশি প্রতিটা আবাসিক হোটেলে পতিতাবৃত্তিতে স্বেচ্ছায় নিয়োজিত অনেক সুন্দরী মেয়েই ছিলো। মধ্যবিত্ত পরিবার ও ঢাকার নামকরা কলেজ-ইউনিভার্সিটির মেয়েরাই ছিল বেশি। স্রেফ উচ্চবিত্তদের সাথে পাল্লা দিয়ে ভোগ-বিলাসিতা করার জন্যই তারা এই পথ বেছে নিয়েছিল। আর উচ্চবিত্তদের জন্য এটা ছিল ফ্যাশন। বিদেশি একজন পাইলট ব্যঙ্গ করেই বলেছিল :
” বাংলাদেশে সবচাইতে সস্তা হলো মেয়ে মানুষ। মাত্র 10$ এর বিনিময়ে সারা রাত একটা মেয়েকে ভোগ করা যায়। “
এই উক্তিটি নারী জাতির জন্য সুখকর নাকি অপমানজনক ভেবে দেখবেন। আর এখন তো ড্রাগের ব্যবসার সাথে জড়িত মূলত সুন্দরী মেয়েরাই। এটাই কি নারী স্বাধীনতার সুফল?? দেশের মানুষের মুল্যবোধ অবক্ষয়ের কারনও মেয়েরা। একটি পরিবারে যদি মায়েরই ধর্মীয় মুল্যবোধনা থাকে সেখানে সন্তানের মাঝে থাকবে কিভাবে?? আর ধর্মীয় মুল্যবোধ যেখানে নাই সেখানে নৈতিকতা ও মুল্যবোধের অবক্ষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর। আল্লাহ কাউকে ছেলে,কাউকে মেয়ে হিসাবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। এই ধ্রুব সত্যকে আমরা অস্বীকার করার ব্যর্থ চেষ্টা করি। ছেলে ও মেয়েদের সমান অধিকারের ধোয়া তুলে মেয়েদেরকে বিভ্রান্ত করা হয়। বর্তমানে মুসলিম উত্তরাধিকার আইন নিয়ে কথা হচ্ছে। সম্পত্তিতে নারী ও পুরুষ সমান অধিকারের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু যারা কথাগুলো বলেন তারা কি ভাল করে আইনটি পড়ে দেখেছেন?? যদি যথাযথ ভাবে সম্পদের সুষ্ঠ বন্টন হয় তাহলে প্রকৃত অর্থে মেয়েরাই বেশি সম্পত্তি পান। সম্পদের সুষ্ঠ বন্টনের ব্যবস্থা না করে সমঅধিকারের কথা বলে মুসলিম আইন পরিবর্তন করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। সব ক্ষেত্রে সব কিছু সমান হলে ছেলে বা মেয়েবলে কিছু থাকতো না। হয় সবাই ছেলে নয়তো মেয়েই হত। হাসি পায় যখন দেখি ওই আধুনিক মানুষগুলো আল্লাহর থেকেও বড় বিজ্ঞ হয়ে যায়। অধিকার, সম্মান ও দায়িত্ব এই বিষয়গুলোকে আমরা এক করে ফেলি। অধিকার ও সম্মান উভয় ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদের উপরে।কিন্তু ছেলেদের দায়িত্ব বেশি। আমাদের অজ্ঞতার কারনে এই ইস্যুকে পুজি করে ওই আধুনিক মানুষগুলো নারী অধিকারের ধোয়া তোলে। কিন্তু আমরা ভুলে যাই
” From the very beginning nature setup a by default rule around us. You have no power to break that rule. If u try, you must be punished by nature. “
মনে পড়ে নিউটনের সেই বিখ্যাত সূত্র
” প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। “
যেভাবে নিজেরা মনের মত করে সবকিছু পরিবর্তন করতেছি তার ফলাফল নিকট ভবিষ্যতে আমরাই ভোগ করব। এসবদেখা চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে এই কি সেই অধিকার!! এই কি সেই স্বাধীনতা!! হায় অধিকার!! হায় স্বাধীনতা!! হাসি পায় যখন মনে পরে যে,পুরুষ শাসিত সমাজ ব্যবস্থা থেকে নিজের অধিকার রক্ষা করতে এসে উলটা নিজেরাই নিজেদেরকে প্যকেটজাত পন্যে রূপান্তরিত করে। ভাবতেই অবাক লাগে মানুষ কি ভাবে এতবোকা হয়। ধিক, শত ধিক তাদেরকে। তাদের জন্যই আজ প্রকৃত পক্ষে যারা ভালো তাদেরকে প্রতিনিয়ত বিব্রত হতে হচ্ছে। যেসব মেয়েরা এসব করতেছে তারা আমাদেরই কারো মা, বোন, স্ত্রী, কন্যা। আমরা তাদেরকে সঠিক গাইডলাইন দিতে পারছি না।
এখানেই আমাদের পুরুষদের ব্যর্থতা।
আমরা যদি এই বিষয়গুলো একটু খেয়াল করি এবং নিজ নিজ অবস্থানে থেকে চেষ্টা করি তাহলে আমরাই পারবো সমাজকে পরিবর্তন করতে। না হলে এর ভয়াবহতা থেকে আমরা কেউই রক্ষা পাবো না।
( এই টপিকটা পড়ার পরে অনেকেই আমাকে হয়তো মনে মনে গালাগালি করবেন। আবার কেউ কেউ আমার কথাকে সাপোর্ট দিবেন। কেউ কেউ বলবেন, যে যার যার মত চলুক। ইত্যাদি.. ইত্যাদি…। ব্যস এই টুকুই। তারপর সবই আবার আগের মতো। আর এই স্বভাবের জন্যই আমরা আজ তৃতীয় বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত দেশ, ৮০% মানুষ মুসলিম, কিন্তু বলতে পারি না বাংলাদেশ মুসলিম দেশ। তাই এখনই সময় একটু ভেবে দেখার। )
বি.দ্র. :
*** সমাজে এখনো অনেক ভাল মানুষ (পুরুষ ও মহিলা) আছে বলেই আমরা টিকে আছি। এক সময় ভাল মানুষ ছিল অনেক বেশি, মুষ্টিমেয় কিছু ছিল খারাপ। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে আজ সব কিছু পালটে গেছে। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ সমগ্র জাতিকে ধংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে । শরীরে একটু পচন ধরলে ধীরে ধীরে সমগ্র শরীরকেই তা গ্রাস করে। আমাদের সমাজেও আজ তারই প্রতিফলন। আমার কথাগুলো তাদের উদ্দেশ্যেই বলা যারা নগদ কিছু প্রাপ্তির আশায় নোংরামীকে বেছে নেয়,মানুষকে বিভ্রান্ত করে।
Subscribe to:
Posts (Atom)